বাড়ী ভাড়ার সমস্যা আমাদের দেশে দিনে দিনে মহামারী আকারে ধারণ করছে। এর জন্য মূলত আমাদের অসচেতনাতা টাই দায়ী।

বাড়ীভাড়ার পূর্বে একজন বাড়ীওয়ালার ভাড়াটার ব্যাপারে ভাল জ্ঞান থাকা উচিৎ। যেই কোন উপায়ে খোজ খবর নেয়া খুবই জরুরী। তেমনি যে বাসাটি ভাড়া নিছেন তারও ভাড়াটিয়া সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকা আবশ্যক। এই নিয়ম গুলো না মানায় আমাদের বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।

যাই হোক একজন বাড়ীওয়ালা চাইলে যেমন একজন ভাড়াটিয়া প্রতি সমস্যা ঘটাতে পারে। এই টা আমাদের মনে রাখা দরকার যে ভাড়াটিয়া যত তত্র উচ্ছেদ করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। তাই আমার মতে বাড়ীওয়ালা ভাল সম্পর্ক বজায় রেখে ভাড়াটিয়ার সাথে সুসম্পর্ক থাকা উচিৎ।

যদি কোন ভাড়াটিয়া সু-ইচ্ছায় বাসা না ছাড়তে চায় তাহলে আইন গত পন্থা বের  করে সে হরেক রকম ভাবে থাকার প্রয়অস করতে পারে। ভাড়াটিয়া পরাজয় হবে কেস এ কোন সন্দেহ নাই, কিন্তু এই ডমাডলে বৎসরের পর বৎসর ভাড়া না দিয়েও দিন পার করতে পারে। কুট কৌশল অবলম্বন করলে এই টা করা সম্ভব।

তাই আরজি লিখতে আইনজীবীদের এই খানে বিচক্ষণতার দেখা গিয়াছে , বাড়ী ওয়ালা নিম্ন আদালতে ডিক্রি হইলেও উচ্চ আদালতে ডিক্রি ডিসনিস হওয়ায় সম্ভবনা থাকে। কিন্তু বাড়ীওয়ালার ভাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে ডিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে বাড়ীওয়ালা এবং ভাড়াটিয়া উভয় যেন একটা সু সম্পর্ক বজায় রেখে একে ওপরের সমস্যা বুঝে একে আরেকজনের সহায়ক ভূমিকা পালন করা ভাল।

ধরে নাও রহিম সাহেব একটি ৫ তলা ভবনের মালিক। তারি বড় ছেলে বিদেশগামী, বিদেশ থেকে আসছে স্বস্ত্রীক রহিম সাহেব তার বড় ছেলে ৫ তলা ভবনে আলাদা থাকবে। ৫ তলার মালেক সাহেবের থাকবে। ৫ তলার এবং  তার অফিস বাদা বাদি থাকায় সে ছাড়তে চাচ্ছে না বাসা।  এই ক্ষেত্রে রহিম সাহেব ক্ষুব্দ হইয়া তাকে তার প্রতি নোটিশ প্রেরণ করল। যাহা আইনী ভাবে তিনি করতে পারেন। কিন্তু এইটা মনে রাখা জরুরী যে ভাড়াটিয়া যদি না নিয়মমিত ভাড়া দিয়ে আসে এবং কারও সমস্যা না করে থাকে এই ক্ষেত্রে তাকে উচ্ছেদ করা দূরই ব্যাপার। কেন না বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ভাড়াটিয়া সুরক্ষিত।

ভাড়াটিয়াকে যেন জোরপূর্বক বাসা থেকে না উচ্ছেদ করে এর জন্য ভাড়াটিয়া একটি চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নালিশ করিতে পারেন। কোর্ট সঠিক বিষয় বিবেচনা করে নোটিশ টি আমলে নিবেন। যদি ভাড়াটিয়া সঠিক হন তাহলে তার নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তি হতে সময় লাগবে না। যদি সঠিক না হন, তাহলে তাকে থাকা হবে দূরহ ব্যাপার। এই কেস এর সম্পাদনা এক আরজি দাখিল করা যেতে পারে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত। মামলা সম্পাদনের আরো মনে রাখতে আবশ্যক বাড়ী ওয়ালা এবং ভাড়াটিয়া অবশ্যই উভয় পক্ষ দলিল পত্র ও ভাড়া পরিশোধের রশি,দ এবং কাগজাদি আরজির সাথে সংযুক্ত করে জমা দিতে হয়। এই ছোট্ট প্রয়াসের মূল উদ্দেশ্য আমরা আমাদের অধিকার ভালভাবে যেন জানি। জানার পর  ধুকে শুনে উপযুর্ক্ত কাজ সম্পাদন করি।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

Judiciary, Litigation, Advocacy

ঢাকা ল ব্লগ


About

Design a site like this with WordPress.com
শুরু করুন